সিডনীতে আগামী ২৪ শে এপ্রিল অথবা ২৫ শে এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হতে পারে
ডেস্ক রির্পোট: রমজান শব্দটি এসেছে রমজ শব্দ থেকে, রমজ শব্দের র্অথ হলো জ্বালিয়ে দেয়া বা দগ্ধ করা। এই রমজান মাসের রোজা মানুষের মনের কলুষ-কালিমা পুড়য়ে নষ্ট করে দিয়ে মনকে নির্মল ও পবিত্র করে তোলে। ভোররাত থেকে সন্ধ্যা র্পযন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা ও সংযম পালন ইসলামে রোজা বা সিয়াম নামে উল্লেখিত। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন রমজানের নির্দেশনা ও ফজিলত সর্ম্পকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। রাসুল (সা.) এর জীবনভত্তিকি বিভিন্ন হাদিসেও এর ফজিলত ও করণীয় সর্ম্পকে দিক নির্দেশেনা দেয়া আছে।
প্রাত্যহিক জীবনে নিয়ম-শৃংখলা, কষ্ট সহিঞ্চুতা, পরোপকার, সৎ চিন্তা ও সরল জীবন যাপনের মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হবার শিক্ষা অর্জনের সুযোগ হতে পারে এই মাস। এছাড়া অহতেুক খাওয়া-দাওয়া ও বিলাসতা এড়য়িে প্রতিবেশীসহ নাগরকি জীবনে আশেপাশে থাকা গরীবদের প্রতি নজর দিলে রমজান মাসের র্সাথকতা আসবে। রহমত, মাগফরোত ও নাজাত এই তিন ভাগে বিভক্ত রমজান মাসের পুরোটা সবার জন্য কল্যাণ ও রহমত বয়ে আনুক, এই আমাদরে প্রত্যাশা। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: ‘শাহরু রমাদ্বা-নাল্লাযী উনযলিা ফি-হিল কুরআন’। র্অথাৎ ‘রমজান ওই মাস, যে মাসে আমি পবিত্র কুরআন নাযিল করেছি। আল্লাহ তায়ালার এ বাণী দ্বারা বুঝা যায়, রমজান কেন অন্য মাসের চেয়ে মহিমান্বিত, শ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বর্পূণ। সমস্ত আসমানী গ্রন্থের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কুরআন যে পবিত্র মাসে নাযিল হয়েছে, নি:সন্দেহে সে মাস অন্য মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, তাৎর্পযপূর্ণ ও বরকতময়। অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসের ইবাদাতের সওয়াব অনেক বেশী।
রহমত, মাগফরিাত, নাযাত, রোযা, সাহরী, ইফতার, তারাবীহ, লাইলাতুল কদর সহ আরো বহু অনন্য বরকতময় বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এ পবিত্র মাস সন্দেহাতীতভাবে অন্য সকল মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। বৈচিত্র্যের এত রকমের, ইবাদাতের এত মোহনা, সংযমের এমন দৃষ্টান্ত সচরাচর অন্যান্য মাসে দেখা যায় না।
সিডনীতে পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে আগামী ২৪ শে এপ্রিল শুক্রবার অথবা ২৫ শে এপ্রিল শনিবার থেকে তবে তা অবশ্যই নির্ভর করবে চাদঁ দেখার উপর। প্রতি বৎসর সিডনীর বিভিন্ন মসজিদে অথবা বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে রমজানের তারাবীহ্ জামাতের ব্যবস্থা করে থাকে। সিডনীর অন্যতম বৃহত্তম বাংলাদেশীদের এলাকা হিসেবে পরিচিত বৃহত্তর ক্যাম্বেলটাউন এলাকায় আল ফয়সাল কলেজ, মিন্টো মসজিদ, ক্যাম্বেলটাউন মসজিদ, ইঙ্গেলবার্ন লাইব্রেরী হলে তারাবীহর জামাত হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধকল্পে অষ্ট্রেলিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার যে সকল সামাজিক দুরত্ব বজায়সহ কঠাের নিয়ম-নীতি প্রয়োগ করেছে, তা রমজান শুরু পর্যন্ত বলবৎ থাকলে এ বৎসর তারাবীহ জামাত না হওয়ার সম্ভবনাই বেশী। তবে এর মধ্যে নিয়ম-নীতি শীতল হলে তারাবীহ জামাত যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান আয়োজকরা।
রমজান ইবাদতের বসন্ত, অতএব আমাদের উচিৎ হবে এ পবিত্র মাসে মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুল (দ.) এর সন্তুষ্টি আদায়ের লক্ষ্যে বেশী ইবাদাত-রিয়াজত করা। অনাহারিদের মুখে খাবার তুলে দেয়া, বস্ত্রহীনের শরীর আবৃত করা, সর্বোপরি অভাবী-দুঃখী লোকদেরে সাহায্যে এগিয়ে আসা। আল্লাহ পাক আমাদের সে তাওফিক দান করুন, আমিন!
No comments