Header Ads


  • নদী অধিকার দিবস উপলক্ষে নদীর অধিকার আদায়ে প্রতিবন্ধকতা নির্ণয় ও করনীয় শীর্ষক অনলাইন সেমিনার






    জাহিদুর রহমান বকুল, বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান: 
    বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন কেন্দীয় কমিটির উদ্দ্যেগে নদী অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে নদীর অধিকার আদায়ে প্রতিবন্ধকতা নির্ণয় শীর্ষক অন লাইন সেমিনার গত ১৬ আগষ্ট রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত অনুিষ্ঠত হয়।
    প্রধান আলোচক ছিলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ঠ কলামিষ্ঠ ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ইমোরিটাস অধ্যাপক পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন কেন্দীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার সাদত।
    আলোচক ছিলেন বিশিষ্ঠ গবেষক, রিভার এন্ড পলিউশন প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, রিভারাইন পিপল মহাসচিব শেখ রোকন, নদী বাঁচাও আন্দোলন কেন্দীয় কমিটির সহ-সভাপতি গেরিলা লিডার ড. এস এম শফিকুল ইসলাম কানু, সহ-সভাপতি ইকরাম ইলাহী খান সাজ, সহ-সভাপতি মিহির বিশ্বাস, সহ-সভাপতি ড. মহসিন আলী মন্ডল, সহ-সভাপতি মুনির মুননা, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক (আন্ত: নদী সংযোগ) ড. আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ঠ নদী ও পানি প্রকৌশলী ড.লুৎফর রহমান, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা: বোরহান উদ্দিন অরণ্য, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম আলম, যুগ্ন সম্পাদক তাজুল ইসলাম ।
    অন লাইন সেমিনারে সংযুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, নদী বাচাও আন্দোলনের নদী যোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত (পটুয়াখালী) আবেদুর রহমান স্বপন (গাইবান্ধা), শাহাদৎ হোসেন (পঞ্চগড়) বীর মুক্তিযোদ্দা রফিকুল আলম (বরিশাল), কেন্দ্রীয় কমিটির জীববৈচিত্র বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসিবুর রহমান (কিশোরগঞ্জ) যুগ্ন-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রহমান (কক্সবাজার) যুগ্ন  প্রচার সম্পাদক হাসিবুল হক পুনম, যুগ্ন দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. শহিদুল্লাহ, আবু রায়হান মাসুদ (শেরপুর), হেমায়েত হোসেন হিমু (ঝালকাঠী) সহ  দেশের বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সহকারী এট্রোনী জেনারেল এ্যাড. আমিনুল হক টুটুল।
    আলোচক বৃন্দ বলেন, নদী, নালা, খাল, বিল, জলাশয়, দুর্ষন ও দখল প্রতিরোধে সংবিধানের ১৮(ক) ধারার কঠোর প্রযোগ করে দখলদারদের জেল, জরিমানা প্রদান সহ চীরদিনের জন্য উৎখাত করতে হবে। নদীর মালিকানা দেশের মানুষের। নদীর পানি প্রবাহ অব্যাহত রাখা, উজানের পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘ পানি প্রবাহ কনভেনশন যা ইতোমধ্যে আইনে পরিনত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ সরকারকে অনুস্বাক্ষর করে প্রয়োজনে জাতিসংঘে বিষয়গলো তুলে ধরতে হবে। নদীর উপর অত্যাচার, নদী দখল, নদী দূষন, নদীর মাঝখানে শিল্পকারখানা স্থাপনসহ নদী ধ্বংসের সাথে ক্ষমতাবান ব্যাক্তিবর্গ জড়িত। জন প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করেন না। নদী, নালা, খাল, বিল, জলাশয় দখলমুক্ত করতে সরকারী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চরম নির্র্লিপ্ততা ও অবহেলা, অপশাসন, অপতৎপরতা। বোমা মেশিন দিয়ে নির্বিচারে নদী, খাল, বিল ও জলাশয় থেকে বালু উত্তোলন, দেশের নদী ভাংগনের অন্যতম কারন হচ্ছে নদীর নাব্যতা হ্রাসের ফলে ডুবো চর সৃষ্টি। ডুবো চড়ে পানি আঘাত প্রাপ্ত হয়ে নদীর কিনারের দিকে ধাবিত হয়। তাই ফ্ল্যট প্লান ছাড়া নদী বাঁচাও সম্ভব নয়। নদী নিয়ে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ, প্রতিনিয়ত নদীর যতœ নেয়া, কর্ণফুলী নদী রক্ষা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য।
    দেশের নদী ভাংগন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন, প্লান অত্যন্ত দূর্বল ও এলোপাথারী। ফলে প্রতিবছর নদী ভাংগনের ১০ লাখ মানুষ  দরিদ্র হচ্ছে। প্রায় ৮ হাজার ৭ শত হেক্টর আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাই নদী রক্ষায় সকলকে বদ্ধপরিকর হতে হবে।
    সেমিনারে নদীযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ভারতের সাথে তিস্তা নদীর পানি চুক্তি সম্পাদনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেনা এ ব্যাপারে দেশ ব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করার জন্য কেন্দীয় কমিটির প্রতি আহবান জানান।
    সেমিনারের প্রধান আলোচক, জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষায় যুগোপযোগী আইন প্রনয়নের কাজ চলছে। এ আইন পার্লামেন্টে পাশ হলে এর কঠোর প্রযোগের মাধ্যমে দেশের নদ, নদী গুলো ক্ষমতাশীন ও প্রভাবশালী শিল্প মালিকদের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তিনি দৃঢ়তার সাতে বলেন সৎ মানুষ ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্বভ নয়।
    উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নদ-নদী সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭শত।  বর্তমানে অধিকাংশ নদীর অস্থিত্ব নেই। এ সকল প্রভাবশালী,  ক্ষমতাশীন, গনদূষমন, নদী খেকো, নদী দস্যুরা দখল করে নিয়েছে। এদের  বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। তারা আইনের ফাঁক ফোঁকড় ও ক্ষমতার দরুন পাড় পেয়ে যাচ্ছে।

    No comments

    Top Ad

    Top Ad

    Post Bottom Ad

    ad728