প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কো-চেয়ার হলেন
জাহিদুর রহমান বকুলঃ
রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠা ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ সব কার্যকর ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বিশ্বজুড়ে যাত্রা শুরু করেছে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তিনটি বিশেষায়িত সংস্থার যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার প্ল্যাটফর্মটির সূচনা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ নামের এই প্ল্যাটফর্মটির কো-চেয়ার মনোনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পাশাপাশি বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোত্তেলিও গ্রুপটিতে একই দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতিসংঘের দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মটি গঠনে যৌথ ভূমিকা রেখেছে প্রাণীর রোগ প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে কাজ করা ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর এনিমেল হেলথ (ওআইই)।
ওষুধের বিরুদ্ধে জীবাণুদের ক্রমেই প্রতিরোধী হয়ে ওঠা বা ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে এই গ্রুপটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান এবং মন্ত্রীদের পাশাপাশি গ্রুপটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন বেসরকারি খাত এবং নাগরিক সমাজের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
বিশ্বজুড়ে পরিচিত এসব সদস্য নিজেদের নেতৃত্ব এবং প্রভাব কাজে লাগিয়ে জীবাণু ধ্বংসে সক্ষম ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে জীবাণুদের ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার মারাত্মক পরিণতির বিষয়ে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করবেন তারা। এর পাশাপাশি ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে সহায়তাও দেবেন প্ল্যাটফর্মটির সদস্যরা।
বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিমাইক্রোএবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ চলার মধ্যে যাত্রা শুরু করল প্ল্যাটফর্মটি। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্ট বিষয়ক আন্তঃসংস্থা সমন্বয় গ্রুপের পরামর্শে এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের সমর্থনে প্ল্যাটফর্মটি সৃষ্টি হয়।
ওষুধের বিরুদ্ধে জীবাণুদের ক্রমেই প্রতিরোধী হয়ে ওঠাকে বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি হুমকি বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যের জন্য এ পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক বলে বর্ণনা করেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিপন্ন হতে পারে খাদ্য নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন আর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতি। রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠতে থাকলে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়, হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার ব্যর্থতা, অসুস্থতার তীব্রতা এবং মৃত্যু বাড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
No comments