স্বাক্ষর জালিয়াতি ও তথ্য গোপন করে জমি আত্নসাতের অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাক্ষর জালিয়াতি ও তথ্য গোপন করে জমি আত্নসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী।
বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, গাজীপুরে দায়েরকৃত দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং -১৯ /১২ বিগত ১১/১১/২০২০ ইং তারিখে রায় ও বিগত ১৭/১১/২০২০ ইং তারিখের সোলেমুলে ডিক্রির মামলার বিবাদী মোসাঃ মালেকা বেগম আজ ১১ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমকে জানান , কিছু দিন পুর্বে উক্ত মামলার ২ নং বিবাদী মোঃ আজিমদ্দিন , পিতা মৃত : আসাদুল্লাহ , সাং - বঘলবাড়ী , তিনি এলাকায় প্রকাশ করেন যে তিনি ও উক্ত মামলার বিবাদীগনের এর সম্পত্তিতে ডিক্রি প্রাপ্ত হইয়াছেন। তাহার কথা প্রথমে সবার কাছে পাগলের মত প্রলাপ মনে হলেও পরবর্তীতে মাননীয় আদালতে তালাশ অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারেন যে, ১৯/১২ নং মাকাদ্দমার বাদী হাসিনা গং বনাম হোসনে আরা গং মাননীয় আদালতে আপোষ সোলেনামা দাখিল করে, তাহার সোলেনামা মুলে বিবাদী ১/ হোসনে আরা ও ২/ মালেকার এর সম্পত্তিতে ডিক্রী প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে বিবিদীগন উক্ত বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট অবগত এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন উক্ত মামলার ২ নং বিবাদী মোসাঃ মালেকা বেগম , স্বামী হাবিবুল্যাহ বেপারী এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলে তিনি জানান যে , আদালতের আদেশের ব্যপারে তিনি ২ নং মালেকা বা তাহার কন্যা ১ নং হোসনে আরা ২ জনের কেউই অবগত নন । উক্ত মোকাদ্দমাটির পুর্ববর্তী নাম্বার ছিল দেঃ মু; নং- ১২৪/০৬ , যাহা আব্দুল কাদের গং আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করেন ।
পরবর্তীতে মোকাদ্দমাটি চলমান অবস্থায় বিগত ২৫/০১/০৯ ইং তারিখে তদ্বীরের অভাবে খারিজ হইয়া গেলে, ১ম বাদী কাদির গং মামলাটি ০৭/৩/১২ ইং তারিখে পুনরুজ্জীবিত করিয়া বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদালত গাজীপুরে বদলী করিলে নতুন নাম্বার হয় দেঃ মুঃ নং -১৯ / ২০১২ । অত্র মুকাদ্দমায় আদালতে আমাদেরকে নোটিশ করলে মামলাটি প্রতিদ্বন্দিতা করিতে থাকাবস্থায় উক্ত মুকাদ্দমাটি বিগত ২৪/১০/১৬ ইং তারিখে তদ্বীৱেৱ অভাবে পুনরায় খারিজ হয় । উক্ত ২য় দফা খারিজ আদেশের পর বাদীগন তদ্বীর ছাড়িয়া দেয় । কিন্তু বাদীগন কখন মুকাদ্দমাটি পুনরুজ্জীবিত করিয়াছে সেই ব্যপারে আমরা কিছুই জানিনা এবং উক্ত দেঃ ১৯/১২ নং মোকাদ্দমায় আমরা কাউকে মামলা পরিচালনা করিবার জন্য কোন আম-মোক্তারও নিযুক্ত করিয়া নাই এবং মামলার ১ নং বাদীও হাসীনা নয় তার স্বামী আব্দুল কাদীর, তথাপিও কিভাবে ১নং বাদী কাদীর গং এর জায়গায় হাসিনা গং উল্লেখ করিয়া বিবাদীর অনুপস্থিততে বিবাদীপক্ষে সোলেনামা দরখাস্ত দাখিল করা হয়েছে তা আমার জানা নাই । আমি দরখাস্তে দেখিতে পারি যে , জালিয়তিপুর্ন ভাবে সোলেনামায় আমার স্বাক্ষর দেখানো হইয়াছে অথচ আমি একজন অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষ হওয়ায় কখনোই কোন দলিল বা দরখাস্তে স্বাক্ষর করি নাই , সবসময় টিপ সহি দিয়েছি শুধু তাই নয় এখানে বাদী পক্ষের অনুপস্থিত ও মৃত ব্যক্তির সহিও দেখানো হয়েছে। আজিম উদ্দিন কোর্টের আইনজীবী ও অসাধু কর্মকর্তাদের সহিত যোগসাজস করিয়া আমার ও আমার মেয়ের সহি স্বাক্ষর জাল করিয়া ভুয়া লোককে আমাদের পক্ষে দাড় করাইয়া সোলেমুলে ডিক্রি হাসিল করিয়াছে । অথচ নালিশী সম্পত্তি আমার স্বামী হাবিবুল্লাহ বেপারী জীবিত থাকাবস্থায় কতক সম্পত্তি কয়েকটি সাব কাফলা দলিলে বিক্রি করে ও কতক সম্পত্তি ২/০৩/০৬ ইং তারিখে ৪১৪৭ নং দলিলে তার নাত্নী মাহজাবীন রহমান মীমকে ও আমাকে হস্তান্তর করে এবং সর্ব শেষ তার এক মাত্র কন্যা হোসনে আরা ও আমার বরাবরে ৫৫১৬ নং দলিলে হস্তান্তর করে দিয়া নিঃশর্তবান হন। আমি আমার প্রাপ্ত কতক সম্পত্তি প্রথমে আমার মেয়ে হোসনে আরা কে হস্তান্তর করি এবং অবশিষ্ট সম্পত্তি আমার নাতী মোঃআব্দুল্লাহ আল সামাউন ও নাত্নী মেহজাবীন রহমান মিম কে ৭৬৯৪,ও ৩৩৫ নং দুইটি হেবা দলিল মুলে হস্তান্তর করিয়া দেই। আমার মেয়ে হোসনে আরা তার মরহুম পিতা হাবিবুল্লাহ থেকে প্রাপ্ত কতক সম্পত্তি বিভিন্ন দলিলে বিক্রি করে, পরে ২/০৩/২০১৪ ইং তারিখে একমাত্র ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল সামাউন ও মেয়ে মাহজাবীন রহমান মিম কে ৩২৯৯ নং দলিলে ও ২৪/১০/১৬ ইং তারিখে কতক সম্পত্তি শুধু মাহজাবীন রহমান কে এবং সর্বশেষ ৪/৪/১৮ ইং তারিখে তার অবশিষ্ট সম্পত্তি আবারও তার মেয়ে মাহজাবীন রহমান কে ৩২১৮ নং দলিলে হস্তান্তর করে নিঃশর্তবান হন।
অতপর মাহজাবীন রহমান মিম তার ১ নং নানা হাবিবুল্লাহ বেপারীর ও ২ নং নানী মোসাঃ মালেকা বেগম এবং ৩ নং মা হোসনে আরা ১,২ ও ৩ নং দাতা কতৃক ধারাবাহিক ৬ টি দলিলে সম্পত্তির মালিকানা লাভ করিয়া বৈবাহিক সূত্রে স্বামী মোঃ সাইফুল কবির এর বরাবর সকল সম্পত্তি ৩৩৪৭ নং দলিল হস্তান্তর করিয়া নিঃশর্তবান হন।
আমি মালেকা ও আমার মেয়ে হোসনে আরা এখন আর সম্পত্তির মালিকই না । আমরা সালোনামা দিবো কি ভাবে । বাদীগন ও সবাই বাঁচে নেই। ২ নং বাদী আজিমুদ্দিন পেশায় শিক্ষক হলেও একজন লোভী ভুমি দস্যু প্রকৃতির লোক বিধায় সম্পূর্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়া আদালতের অসাধু কর্মচারী ও আইনজীবীর যোগসাজসে ভুয়া লোককে বিবাদী সাজাইয়া সই স্বাক্ষর জাল করিয়া সালেনামা দেখাইয়া মাননীয় আদালত কে ভুল বুঝাইয়া সোলেমুলে রায় ও ডিক্রি হাসিল করিয়াছে ।
আমি উক্ত মামলায় প্রতরনা করিয়া হাসিল কৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব এবং সরকার ও আদালতের নিকট এদের সর্বোচ্চ শাক্তি দাবী করি ।
No comments