সিডনীতে মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের ত্রিশ বছর উপলক্ষে স্মৃতি চারন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
১৯৯১ সালে অষ্ট্রেলিয়াতে আন্তজার্তিক চ্যাম্পিয়নশিপ মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে এসেছিল বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। প্রতিযোগিতা শেষে অনেকেই অষ্ট্রেলিয়াকে ভালবেসে ফেলেছিলেন, ভাল লাগা তারপর এ দেশেই গড়ে তুলেছেন নিজ ঠিকানা। বসতি গড়ার ত্রিশ বৎসর পূর্তি উপলক্ষে মিলিত হয়েছিলেন সেই দিনের তরুনরা।
আজ অনেকেই বয়স বা কর্মব্যস্ততা বাড়লেও নিজেদের অত্যন্ত নিকটে পেয়ে হারিয়ে যায় অতীত দিনের সোনালী দিনগুলিতে। এ দেশে আসার পর কয়েকজন মিলে একত্রে মিলে মিশে বসবাস করার স্মৃতি চারন করেন দেশের এ গৌরবজ্জ্বল অর্জনকারী কারাতে মার্শাল আর্ট খেলোয়াড়রা। স্মৃতি চারনের স্থান বেছে নেয় সিডনীর অদূরে নেপিয়ান ড্যাম পিকনিক পয়েন্টে।
আয়োজন করেন স্মৃতিচারন অনুষ্ঠান। স্মৃতি চারন করেন মার্শাল আর্ট খেলোয়াড় কাজী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম,মোহাম্মদ আসাদ চৌধুরী সেলিম, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম খোকন,মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, রাজা মনোয়ার খান মানিক। যদিও অপর খেলোয়াড় মনেশ রায়, সায়ীদ আহমেদ,জামাল উদ্দিন আহমেদ কাজল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। সিডনীতে বসবাস করলেও সময় ও কর্মব্যস্ততার জন্য একে অপরের সাথে সাক্ষাত তেমন হয় না। অনেকেই স্মৃতি চারন করতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। সবাই যেন ফিরে গিয়েছিলেন ত্রিশ বছর বা তার পূর্বের দিন গুলিতে। অশ্রু ভিজিয়েছে আমন্ত্রিত অতিথিরাও। এ স্মৃতি চারন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিলেন মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম খোকন
ও আসাদ চৌধুরী সেলিম। স্মৃতি চারন পর্বের পর অতিথিদের দুপুরের দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। পরে দোয়া পরিচালনা করেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। দুপুরের খাবারের পরে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তজার্তিক প্রতিযোগিতায় অর্জিত পুরস্কার অতিথিদের প্রর্দশন
করেন। উল্লেখ্য আসাদ চৌধুরী অষ্ট্রেলিয়া বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহন করে পুরস্কার লাভ করেন। ১৯ নভেম্বর গোল্ডকোষ্টস্থ কমেরা ইনডোর ষ্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত “অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল কারাতি চ্যাম্পিয়ানশিপ” টুর্নামেন্টে রৌপ্য পদক লাভ করেন। আসাদ চৌধুরী ব্ল্যাক বেল্ট প্রথম ড্যান লাভ করেন। ১৯৮৮ সালের প্রথম জুনিয়র কারাতে লীগে শ্রেষ্ঠ কারাতে কান
হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। পরের বছর দিল্লীতে অনুষ্ঠিত ইন্দো-বাংলা আর্ন্তজাতিক কারাতে প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়াও গ্রিনিস বুকে নাম লিখান এ ব্ল্যাক
বেল্ট ধারী আসাদ চৌধুরী। ত্রিশ বৎসর পূর্তি দিবসটি অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে শেষ করেন।
No comments