|
আকাশ-বাদল পরিষদের নির্বাচিত প্রার্থীরা। |
আতিকুর রহমান ।। প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকারের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে কিংবদন্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অফ দ্য পিপল, বাই দি পিপল, ফর দি পিপল'। অর্থাৎ জনগনই
সকল ক্ষমতার উৎস। জনগন যেমন ভোট দেয়ার অধিকার রাখে, পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ গ্রহনের অধিকার
রাখে। এটাই জনগনের গনতান্ত্রিক অধিকার। যা গনতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। কোন আইন দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করতে দেয়া অন্যায়। এর বাহিরে গেলে প্রকৃত গনতন্ত্র চর্চ্চা হবে
না। বলা হবে স্বরতন্ত্র। অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি যে প্রকৃত গনতন্ত্র প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে চলেছে
তার প্রমান দিয়েছে বাংলাদেশের ঐহিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এল্যামনাই
এসোসিয়েশন অষ্ট্রেলিয়া কার্যকরি পরিষদের নির্বাচন। গত ৩০ অক্টোবর রবিবার সিডনীর গ্রানফিল্ড
কমিউনিটি হলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা ভোট কেন্দ্রে জড়িত হলে এক মিলন মেলায়
পরিনত হয়। দীর্ঘদিন অনেকের সাথেই দেখা হয় না সাধারনত: এ সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চারন
করতে ভুলে যাননি তারা।
|
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা ফলাফলের পর বিজয় উল্লাস |
“গনতন্ত্র পরিবর্তন আনায়ন করে” এই শ্লোগান নিয়ে এই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া’র কার্যকরী পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ দু’টি প্যানেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সিডনি’র গ্লেনফিল্ড কমিউনিটি হলে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা এই নির্বাচন চলে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিডনীর প্রবীন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী। প্রতিটির পদের জন্য পৃথক পৃথক ভোটের মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচনের বিধান থাকলেও মূলত: দুটি প্যানেল আকাশ-বাদল ও আনিস-লায়লা আরজুমান পরিষদ অংশগ্রহনের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। নির্বাচনে আগামী দু’ বৎসরের জন্য আকাশ-বাদল পরিষদ সর্বাধিক পদের প্রার্থী জয়লাভ করেন। সংগঠনকে একটি গতিশীল ও বৃহত্তম সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গিকার নিয়ে আকাশ-বাদল ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পেরেছে। সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, সহ সাধারন সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সহ ১৫টি পদে জয়লাভ করেছেন। আনিস-লায়লা পরিষদ থেকে মাত্র তিনটি পদ লাভ করেন। দু’জন মাত্র স্বতন্ত্র পদের প্রার্থী জয়লাভ করেন। বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও সাংগঠনিক মিসেস সেলিমা বেগম জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
|
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা ফলাফলের অপেক্ষায় |
আকাশ-বাদল পরিষদে নির্বাচিতরা হলেন-সভাপতি কামরুল মান্নান আকাশ ১৫৯টি ভোট (আনিস মজুমদার ৮৩), সহ সভাপতি-১ গোলাম মাওলা ১৪৯টি (নাসিম সামাদ ৮৬), সহ-সভাপতি-২ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ডঃ খাইরুল চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক বাদল ১২৭টি
( ড. লায়লা আরজুমান ১১৫), কোষাধ্যক্ষ মোঃ হালিমুসসাহান ১৪৩টি (খায়ের উল আলম ৯৪), সহ সাধারন সম্পাদক মোঃ লিংকন শফিকউল্লাহ ১৬৯টি ( ফারুক তালুকদার ৭২), সাংস্কৃতিক সম্পাদক সিরাজুস সালেকিন ১২৭টি (এহসান উদ্দিন আহমেদ ১১৫), এডুকেশন
ও রির্চাস সম্পাদক ডঃ সেলিম মমতাজ ১৪৫টি
( মিসেস সিনথিয়া রহমান ৯৬), ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পাদক মোঃ রফিক উদ্দিন ১৪৫টি
(মো. কামরুজ্জামান আখন ৯৬), সাধারন সদস্যঃ মিসেস নার্গিস বানু ১৫৪টি, মিসেস তানিয়া ফারজানা ১৫১টি, মিসেস নুসরাত জাহান হুদা ১৫১টি, এম এ আহসানুল হাসান হাদি ১৩৮টি, জাহিদ মাহমুদ ১৩০টি, মুনির হোসেন ১২৩টি।
|
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীরা |
আনিস-লায়লা পরিষদ থেকে নির্বাচিতরা হলেন: হায়াত মাহমুদ ১৫০টি, মিসেস সাকিনা আক্তার ১৫৪টি, মিসেস নুসরাত জাহান স্মৃতি ১২২টি
ভোট। |
ভোট দেয়ার অপেক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়র প্রাক্তন ছাত্রীরা
|
|
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা ফলাফলের অপেক্ষায় |
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন-তথ্য ও প্রকাশনা
সম্পাদক মিসেস সেলিমা বেগম ১২৫ ভোট ( মো. শফিকুল আলম ১১৮টি), সাধারন সদস্য হিসেবে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ১৫০ ভোট। |
নির্বাচিত তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিসেস সেলিমা বেগম |
নির্বাচিত আকাশ-বাদল পরিষদের যে পরিকল্পনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল
অধিকতর শিক্ষাবৃত্তি দেয়া, লাইব্রেরীও পরীক্ষাগার গুলোতে সহায়তা প্রদান করা, বাংলাদেশ
থেকে আগত ছাত্রদের সহযোগিতা দেয়া, যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় দিবস গুলো পালন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সদস্যদের
|
সর্বাধিক ভোটে বিজয়ী মো. লিংকন শফিকউল্লাহ |
|
মাঝে সম্প্রীতির বন্ধনকে দৃঢ় করা যার বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া’ একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত হবে এ প্রত্যাশা সকল সদস্যদের। এ ধরনের গনতন্ত্র সর্বদা অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশা সিডনী বাংলাদেশী কমিউনিটির।
No comments