অষ্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বার্ষিক সাধারন সভা সার্থকভাবে সম্পন্ন
![]() |
| সভাপতি ড. আনিছুল আফছার |
নিজস্ব প্রতিবেদক।। সিডনীতে অল্প সময়ে কমিউনিটিতে একটি সুসংগঠিত ও সুশৃংখল সংগঠনের পরিনত হয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব, সততা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এর মধ্যেই অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম ইসলামিক পরিবেশ পর্যবেক্ষনের জন্য সিডনীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশীরা এ সংগঠনের আংগিনায় একবার ঘুরতে আসে। পাচঁ একর বিশিষ্ট জমির উপর গড়ে উঠেছে নিজস্ব ভবন। এ ভবনে বিভিন্ন ইসলামিক কার্যক্রম যেমন-তারবীহ নামাজ, বয়স্কদের কোরআন শিক্ষা, মহিলাদের আলেমা শিক্ষা, হাফেজী ও সানডে ইসলামি শিক্ষা, ইসলামিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
![]() |
| উপস্থিত সদস্যদের একাংশ |
অষ্ট্রেলিয়ার সিডনীর সাউথ ওয়েষ্ট এলাকার অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন অষ্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার (এএমডব্লিউসি) এর বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২২ অক্টোবর শনিবার। এএমডব্লিউসি ইসলামিক সেন্টারের নিজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারন সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. আনিছুল আফছার। সকাল থেকেই স্থায়ী সদস্য-সদস্যারা সেন্টারে সভায় উপস্থিত হতে থাকে। প্রথমেই কোরআন থেকে তেলওয়াত ও বাংলা তর্জমা করেন সংগঠনের এডুকেশন সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা।
![]() |
| ট্রেজারার জাহেরুল ইসলাম |
![]() |
| এডুকেশন সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা |
প্রেসিডেন্ট সমাপ্তির পূর্বে এএমডব্লিউসি কর্তৃক আনীত সময়োপযোগী কিছু সংবিধানের ধারার সংশোধন, সংযোজন ও বাতিল করার জন্য প্রস্তাবিত ধারার প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহনের আহবান জানান। আর্থিক সদস্যরা স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করে যা ছিল অভাবনীয়। অধিকাংশ সদস্যরা সংগঠনের কার্যক্রমের ভুয়তী প্রসংশা করেন এবং সকলে মিলে মিশে ইসলামিক সেন্টারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সংগঠনের সভাপতি ড. আনিছুল আফছার সভার সম্মানিত সদস্যদের মতামতের
ভিত্তিতে প্রস্তাবিত অধিকাংশ ধারার পরিবর্তন প্রত্যাহার করে নেন। প্রস্তাবিত দু’জন
অতিরিক্ত সদস্য (যুগ্ন সম্পাদক-২ ও ইয়ুথ এবং স্পোর্টস সেক্রেটারি) সর্বসম্মতিতে প্রস্তাব
অনুমোদিত হয়। পরিশেষে সভার সভাপতি বার্ষিক সাধারন সভার সমাপ্তি করেন এবং আগামী এ ইসলামিক
সেন্টারকে আরও উন্নয়ন কল্পে এগিয়ে আসার বিনীত অনুরোধ করেন। পরে জোহরের নামাজের পর দুপুরের
খাবার পরিবেশন করা হয়। উল্লেখ্য, এএমডব্লিউসি ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর
থেকে সহীহ কোরবানীর ব্যবস্থা, ঈদের জামাত, মাসিক ইসলামিক প্রোগ্রাম, অষ্ট্রেলিয়া ও
বাংলাদেশে বিভিন্ন দূর্যোগ সময়ে আর্থিক সহায়তার জন্য ফান্ড রেইজিং, ক্যাম্বেলটাউন
হাসপাতালে হুইল চেয়ার প্রদান, ফিউনারেল ফান্ডের মাধ্যমে মুসলিম মৃত ব্যক্তির আনুষ্ঠানিকতা
সম্পাদন করা সহ বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলি করে থাকে যা
ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রংশসিত হয়েছে।






No comments